বিদেশ ডেস্ক ॥ প্রায় তিন বছর পর সৌদি আরবের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের জট কাটতে চলেছে। সোমবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। ২০১৮ সালের পর তুরস্কের কোনো প্রশাসনিক কর্তা অথবা রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবে যাননি। দুই দেশের মধ্যে কোনো আলোচনাও হয়নি। সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। তুরস্কে আরব দূতাবাসের ভেতরে খাসোগিকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। তার দেহও লোপাট করা হয়েছিল। খাসোগির বিয়ে করার কথা ছিল তুরস্কের এক নারীকে। তার ঠিক আগেই তাকে হত্যা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্বেই আলোড়ন শুরু হয়। তখন থেকেই তুরস্ক সৌদি আরবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে। এতদিন পর সেই দূরত্ব কাটতে চলেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবে ড্রোন বিক্রি করতে পারে তুরস্ক। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরব আগেই তুরস্কের কাছে ড্রোন চেয়েছিল। তবে কূটনৈতিক মহল তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে অন্য চোখে দেখছে। সম্প্রতি জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আল-আকসা মসজিদে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌদি সরকারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, কাতারের আমিরেরও মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেন। বহুদিন ধরেই তুরস্কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক কাতারের। ফলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে থাকাকালীন কাতারের আমিরের আরবে যাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনিও জেরুজালেমের বিষয়ে কথা বলতে পারেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। জেরুজালেমের ঘটনাকে ছোট করে দেখছে না মুসলিম বিশ্ব। তুরস্ক, সৌদি আরব এবং কাতার মুসলিম বিশ্বের তিন শক্তিধর দেশ। তারা একত্রে জেরুজালেমের ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী ভাবে দেয়, সেটাই এখন দেখার।
Leave a Reply